ভোট দিয়ে বিপাকে গ্ৰামবাসীরা : করোনা নিয়ে বাড়ছে চিন্তা

25th April 2021 9:14 pm বর্ধমান
ভোট দিয়ে বিপাকে গ্ৰামবাসীরা : করোনা নিয়ে বাড়ছে চিন্তা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) :  ভোট উৎসবে অংশ নিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন গোটা একটা গ্রামের বাসিন্দারা। ভোট উৎসব মিটে গেলেও ওই গ্রামবাসীদের হয়রানির এখনো শেষ হয়নি।  ঘটনাটি পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের নাদনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের লোকপাড়া গ্রামে। চলতি বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ নির্বাচনে এই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩৭ নম্বর বুথের ভোটগ্রহণ করা হয়।  এই বুথের মোট ৭২৫ ভোটারের মধ্যে ৬১৪ টি ভোট পড়ার পর  প্রিজাইডিং অফিসারের মোবাইলে মেসেজ আসে সে করোনা পজেটিভ।  তারপরেই ভোটগ্রহণ সাময়িক স্থগিত হয়ে যায়। প্রিজাইডিং অফিসারকে সরিয়ে ভোট পর্ব আবার যখন শুরু হয়, তখন গ্রামে হুলুস্থূলুস শুরু হয়ে যায়। বাকি ভোটাররা বেশিরভাগই আর ভোটকেন্দ্র মুখী হয়নি। যদিও নতুন করে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর আরো আট জন ভোটার ভোট দেন। কোনরকমে ভোট পর্ব শেষ করে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।  রবিবার ওই স্কুলের তালা খুলে সরকারি কর্মীরা স্যানিটাইজ করতে যান।  কিন্তু স্প্রে মেশিন বিকল হয়ে যাওয়ার জন্য স্যানিটাইজের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।  শেষে গ্রামবাসীদের জমির ফসলে  স্প্রে করা মেশিন সংগ্রহ করে কোনরকমে স্যানিটাইজের কাজ শেষ করা হয়। অন্যদিকে আশা দিদিমনিরা এই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জানান-- আপনাদের ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। চাঁদপুর ব্লক হাসপাতাল বহু দূরে হওয়ায় গ্রামবাসীরা আশা দিদিমণিদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীরা তাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন-- কেন নির্বাচন কমিশন করোনা আক্রান্ত প্রিজাইডিং অফিসার পাঠিয়েছে ? দোষ করবে নির্বাচন কমিশন আর হয়রানির শিকার হতে হবে গ্রামবাসীদের ? এটা আমরা কোনভাবেই মানবো না। আমাদের গ্রামে ক্যাম্প করে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।